
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রকে “আবার মহান করার” প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, তার নেতৃত্বে দেশ একটি নতুন স্বর্ণযুগে প্রবেশ করবে। তার বক্তব্যে তিনি দেশপ্রেম, ঐক্য, এবং শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তোলার ওপর বিশেষ জোর দেন। তিনি বলেন, “আমরা আর পেছনে ফিরে তাকাব না। আজ থেকে আমরা নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর জন্য কাজ শুরু করব।”
ভাষণের মূল দিকগুলো:
১. অর্থনীতি: ট্রাম্প তার ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি আমেরিকার শিল্পক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে এবং বেকারত্ব দূর করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেন।
২. জাতীয় নিরাপত্তা: নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের সীমান্ত, আমাদের জনগণ এবং আমাদের সংস্কৃতিকে রক্ষায় আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তিনি অভিবাসন নীতি কঠোর করার ওপর জোর দেন।
৩. বিশ্ব নেতৃত্ব: আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান শক্তিশালী করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা আর অন্যদের ওপর নির্ভর করব না। আমরা নিজেরা বিশ্ব নেতৃত্বে নেতৃত্ব দেব।”
৪. জনগণের অংশগ্রহণ: তিনি আমেরিকার জনগণকে তার শক্তির মূল উৎস হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং তাদের সমর্থন চেয়ে বলেন, “আপনাদের ছাড়া এই পরিবর্তন সম্ভব নয়। আপনারাই আমার শক্তি।”
প্রতিক্রিয়া:
ট্রাম্পের ভাষণ তার সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করলেও সমালোচকরা এটিকে বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো কঠিন বলে অভিহিত করেছেন। বিশেষ করে তার অভিবাসন নীতির কঠোরতা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
ট্রাম্পের এই শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে মার্কিন রাজনীতিতে একটি নতুন যুগ শুরু হয়েছে, যা বিভিন্ন দিক থেকে চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে আসবে। এখন সময়ই বলে দেবে, তার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র কতটা নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ